বিভিন্ন সিম অপারেটরে অফারের নামে, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ।

অফারের নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন সিম কোম্পানি


সিম অপারেটরে ভোগান্তি

আমাদের দেশে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন সিম কোম্পানি তাঁদের সাম্রাজ্য সাজিয়েছে। তাদের সাম্রাজ্যে তারাই সর্বোচ্চ ক্ষমতার মালিক।


তারা তাদের নিজের ইচ্ছে মত সিম থেকে টাকা কেটে নিচ্ছে। তাদের সাথে কথা বলার মত কেউ নেই।


কাস্টমার কেয়ার নামে একটা অপশন থাকলেও সেটাতে বসিয়ে রেখেছে গোজামিল দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার মতো কিছু কর্মী। 


হয়তোবা তাদেরকে শিখিয়ে রাখা হয়েছে কিভাবে কি বলবে? কাস্টমার কেয়ারে কাস্টমার কেয়ার নিতে চাইলে হ-য-ব-র-ল করে বুঝানোর চেষ্টা।


প্রতিটি সিম অপারেটরেই মেইন ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে ঋণ দেওয়ার পদ্ধতি আছে। কিন্তু সেখানেই আসল রহস্য। সর্বনিম্ন ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার বিধান আছে।


সেটা সিম কার্ড ব্যবহারকারীদের ওপর নির্ভর করবে। যারা বেশি ব্যবহার করবে তাদেরকে বেশি ঋণ এর সুযোগ দেওয়া হয়।


সরকারি নিয়ন্ত্রণের অভাবেই এমন সুযোগ নিচ্ছে সিম অপারেটর কোম্পানি।


কিন্তু এখন তারা ২০ টাকা দিলে ৳২ টাকা সাথে সাথে কম আসে অর্থাৎ ৳১৮ টাকা ব্যালেন্স দেওয়া হয় ।


পরবর্তীতে রিচার্জ করলে ৳২০ টাকা কেটে নেওয়া হয় সেটা কেন? তার বৈধতা জানতে চাই।


বাংলাদেশে অসংখ্য সিম অপারেটর থাকা সত্ত্বেও ভোগান্তিতে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ।


ওই সকল সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কবে দূর হবে, কে দিতে পারবে এর সঠিক সমাধান?


বিভিন্ন সিম অপারেটরের অফারের ব্যবস্থা চালু আছে আর সেখানে অফার অনুযায়ী ব্যালেন্স দেওয়া আছে। কিন্তু দেখা যায় অফারে বলা আছে ৳২২ টাকায় ১ জিবি দেওয়া হবে। 


অফার কনফার্ম করলে দেখা যায় ৳২২ টাকা দিয়ে মাত্র ২০০ এমবি দেওয়া হয়েছে।


কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিলে কর্মরতরা জবাব দেই জনাব এইমাত্র আমাদের অফারটি আপডেট করা হয়েছে। যার জন্য আপনি অফারটি পাননি।


এখন আমার প্রশ্ন তারা নিজেদের সিম অপারেটর আপডেট না করে কেন আমাদেরকে অফার দিয়ে দেই। এটাকি প্রতারণার ফাঁদ নই?


এটাকে সাধারণ মানুষ কোন দৃষ্টিতে দেখছেন অবশ্যই কমেন্টে জানিয়ে দিবেন।


আর নয় প্রতারণা এখনই সময় অধিকার আদায়ের। আপনারা গর্জে উঠুন, হয়তোবা শুধুমাত্র এটা আমার সাথে হয়েছে এমন নয়, তারা প্রতিনিয়ত এই দেশের সাধারণ মানুষের সাথে এই প্রতারণা করে থাকে।


এবং বিভিন্ন সময় মুঠোফোন থেকে ব্যালেন্স কেটে নেয়া হয়।


আর প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন আপনারা অবশ্যই এর একটি সুনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা চালু করবেন।


একটি সিম অপারেটর কোম্পানির এক কোটি গ্রাহক থাকলে, প্রতিদিন যদি তারা এক টাকা করে গ্রাহকের কাছ থেকে অনিয়ম করে, তাহলে তারা পেয়ে যাই এক কোটি টাকা।


আর সেই পদ্ধতিটাই অবলম্বন করে বিভিন্ন সিম অপারেটর কোম্পানি। আর সেটা অবশ্যই অবৈধ আর সেই অবৈধ ব্যবসায়ীদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় এনে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।


সিম অপারেটর সম্পর্কে কোন অনিয়ম, ভোগান্তিতে পড়ে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আর অবশ্যই আপনার সমস্যা তুলে ধরবেন।


আপনার মূল্যবান মন্তব্য করতে ভুলবেন না



Post a Comment

0 Comments