আমার বাচ্চাকে বাঁচাতে মানবিক সাহায্যের জন্য সবাই এগিয়ে আসুন।
আমার নাম : নাসরিন আহমেদ (রিমা)।
আমি এস.এস.সি ২০০৭/ এইচ.এস.সি২০০৯ ব্যাজের শিক্ষার্থী। আমার বাবার বাসা মেহেরপুর। (ইকো পার্কের পাশে) মা বাবার একমাত্র মেয়ে আমি।
আমার বাবা পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন। আমার বয়স যখন ১০ বছর তখন আমার বাবা মারা যায়। আমি মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে এসএসসি এবং মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ২০০৯ সালে এইচএসসি শেষ করি।এইচএসসি পরীক্ষা শেষে বিয়ে হয়।
স্বামী: পারভেজ আহমেদ পেশায় শিক্ষক। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জব করতো। আজ একবছর হলো করোনার জন্য চাকরি টাও হারিয়েছে।
আমার শ্বশুর বাড়ি কুষ্টিয়া। শ্বশুর আব্বা ও মা দুজনেই মারা গেছেন। ওরা দুই ভাই। আমার স্বামীর জবের সুত্রে ঢাকাতে গাজীপুর, নবীনগর ও মতিঝিলে ছিলাম সব মিলিয়ে ১০ বছর।
আমাদের দুটো ছেলে, বড় ছেলে ফারহান আহমেদ (অর্নব) বয়সঃ ১০ বছর (ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত) আর ছোট ছেলে ফাহিম আহমেদ (অথৈ)বয়সঃ ৬ বছর। বড় ছেলেটা আজ দুইবছর ধরে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত।
আজ দুই বছর ধরে ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমাদের যেখানে যা কিছু ছিলো সব কিছু বিক্রি করা শেষ। অবশিষ্ট বলতে আল্লাহ ভরসা ছাড়া কিছু-ই নাই।
সর্বোচ্চ সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করেছি তবুও কারও কাছে সাহায্য চাই নাই। কিন্তু আজ যে আর পারলাম না। সবকিছু হারিয়ে বড় অসহায় হয়ে আপনাদের কাছে আমার সন্তানের জীবন বাঁচাতে সাহায্য প্রার্থনা করছি।
আমার দুইটা ছেলে আমার দুইটা পৃথিবী। ছোট থাকতে বাবাকে হারিয়েছি। নতুন করে বাবাকে হারানোর শক্তি আর নাই। আমি আপনাদের সবার কাছে আমার ছেলে অর্নবের জন্য সাহায্য ও সহযোগীতা চাই। আপনারা যদি আমাকে সাহায্য না করেন তাহলে হয়তো আমার ছেলের চিকিৎসা প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ অর্নবের প্রতিদিন ৭ হাজার টাকার ঔষধ (ইনজেকশন ) লাগে। আর যেদিন কেমো বা ব্লাড দিতে হয় তখন তো ২৫ হাজার টাকার দরকার হয়। আপনারা সবাই আমার ছেলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন কিন্তু আমার ছেলের জন্য ১০০ টাকা সাহায্য করেন না। আমার ছেলে অর্নবের জন্য আমি আপনাদের সবার কাছে শুধু ১০০ করে টাকা সাহায্য চাই।
আমার ছেলে কে বাঁচানোর জন্য। আল্লাহ পাক আপনাদের দিয়েছে এবং দিবে আমি দোয়া করি। আমি কি আমার ছেলে অর্নবের জীবন বাঁচাতে ১০০ টাকা অনেক বেশি আবদার করে ফেলেছি। প্রতিদিন আপনাদের কতো টাকা খরচ হয়ে যায় সেখান থেকে আপনি যদি আমার ছেলে কে ১০০ টাকা দেন তাহলে আমার ছেলের চিকিৎসা টাকা জোগাড় হয়ে যেতো। আমার যদি সামর্থ্য থাকতো তাহলে আমি আপনাদের সবার কাছে সাহায্য চাইতাম না। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সেই সামর্থ্য দেয় নাই। আমার ছেলে কে বড়ো একটা রোগ দিয়েছেন। তাই আপনাদের সবার কাছে সাহায্য চাই। আপনারা হয়তো আমার উপর বিরক্ত হবেন। কিন্তু কি করবো এক অসহায় বাবা মা সামনে নিজের ছোট্ট ছেলে ব্যাথায় যন্ত্রায় চিৎকার করে কান্না করে। তখন আপনাদের কাছে আমার সাহায্য চাইতে আসতে বাধ্য হতে হলো।
ছোট থেকে শুনে আসছি যার কেউ নাই তার আল্লাহ আছে। তাই আমি সন্তান, স্বামী ও আল্লাহর উপর ভরসা করে আছি। সাহায্য যা পাই আপনারা সবাই শুধু আল্লাহ কাছে দোয়া করবেন। আল্লাহ যেনো আমার ছেলে কে সুস্থ করে দেন।
নিজের চোখের সামনে ছেল তিলে তিলে টাকার অভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের আর করার কিছু নাই। বড় অসহায় মা-বাবা আমরা ।
আমি মা হয়ে ছেলের কষ্ট সহ্য করতে পারি না বিধায় বার বার আপনাদের কাছে আসি সাহায্যের আশায়। আমি জানি আমার এই পোস্ট হয়তো বা আপনারা পড়বেন না। তারপরও মায়ের মন তো মানে না। আমি আপনাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো। আমার ছেলে কে আপনারা নিজের ছেলে মনে করে যদি সাহায্য করেন। আমার ছেলে কে আপনাদের সবার হাতে তুলে দিলাম। এখন আপনার যদি ফারহান কে সাহায্য করেন ওর চিকিৎসা হবে না হয় বন্ধ হয়ে যাবে। আপনারা যদি আপনার ছেলে কে সাহায্য করেন তাহলে আমি ফারহানের চিকিৎসা হবে তা না হলে ওকে বাসায় নিয়ে আসবো। আল্লাহ যা চাইবেন তাই হবে।
তবে অর্থের অভাবে আমার মানিক যদি আমার কোল ছাড়া হয়ে যায় আমি কেয়ামতের ময়দানে বুকছেড়ে চিৎকার করে কেঁদে আল্লাহর কাছে বিচার দিবো যে মানবজাতির চোখের সামনে অর্থের অভাবে আমি কোলছাড়া হয়েছি।
অর্নব এখন সারাদিন শুধু আল্লাহর কাছে বাঁচতে চায়। আপু / ভাইয়া আপনারা সহযোগিতা করেন। এখানে ফারহানের হাজার হাজার মা/বাবা আছে। তারা কি পারেনা সবাই ছেলের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসতে।
প্রাণবন্ত ছেলেটা এখন আর লাফালাফি করে না। কেমো আর প্লাজমা দিতে দিতে হাতগুলো ক্ষতবিক্ষত। আমাদের চোখের ঘুম কোথায় যেন চলে গেছে।
অনেক কষ্টে এ পর্যন্ত ট্রিটমেন্ট চালিয়ে আসতে পেরেছি। কিন্তু আমরা আজ রিক্ত হস্ত। নিরুপায় হয়ে বন্ধু, প্রতিবেশি সকলের নিকট ধন্ন্যা দিলেও তেমন সাড়া পায় নি।
তাই অবশেষে অনলাইন জগতের মানুষের নিকট সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। হেল্প না করতে পারলে শেয়ার করে দিন। মনে রাখবেন দান করলে কখনো কমে যায়না বরং আল্লাহপাক খুশি হয়ে আরো দেয়।
হয়ত একার পক্ষে সম্ভব না, তবে চাইলে কিছুটা হলেও সম্ভব। মানুষ মানুষের জন্যে, আসুন একটু মানবতার সেবায় হাত বাড়াই। আপনার এই সাহায্যে বেঁচে যেতে পারে একটি প্রান, ফিরে পেতে পারবো আমার সন্তানকে।
ফারহান খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে সে। গত চার মাস ধরে অমানবিক কষ্টে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ব্লাড ক্যান্সার নিয়ে ভর্তি আছে। ওর রোগটি ধরা পরে ২য় স্টেজে। এ যাবত তাকে ২৪ বারের মতো প্লাজমা দেয়া হয়েছে। যা প্রতিবারে খরচ হয়েছে প্রায় ১৪০০০ টাকা করে। প্রতি দিন গড়ে অর্নবের জন্য খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। ওর চিকিৎসার জন্য অলরেডি প্রায়, ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেছে। আরো ১৫ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা লাগবে। কিন্তু এত টাকা আর জোগাড় করা সম্ভব না। দয়া করে সবাই সহযোগিতার মাধ্যমে একজন অসহায় মা-বাবা কে তার ছেলের জীবন ফিরিয়ে দিতে সবাই একটু করে এগিয়ে আসুন।
১৫,০০০ মানুষও যদি ১০০ টাকা করে দিতেন, ১৫ লক্ষ টাকা উঠে যেতে খুব সময় লাগবে না। দশের লাঠি একের বোঝা। ১০০ টাকা কি খুব বেশি? আপু আমি আল্লাহ পড়ে আপনাদের সবার ভরসায় বসে আছি। জানি না আল্লাহ ফারহানের ভাগ্য কি লিখে রেখেছে?
দয়া করে এগিয়ে আসুন ... একদিন হয়তো আমার দরকার হতে পারে, আপনার দরকার হতে পারে ... সেদিনও অন্যরা এগিয়ে আসবে !!
বাংলাদেশে শ্যামলী শিশু হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলো। অবস্থা খারাপ পর্যায়ে যাওয়াতে চিকিৎসকদের পরামর্শমতে উন্নত চিকিৎসা ও কেমোথেরাপি দেওয়ার জন্য আজ ৬ মাস ধরে ফারহান সারজগুপ্তা ক্যান্সার সেন্টার এ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট হসপিটালে ভর্তি আছে।
ফারহানকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার সময় ছোট ছেলেকে মায়ের কাছে রেখে আমি আর ওর বাবা সাথে গিয়েছিলাম। দুইমাস পরে চলে আসি। বর্তমানে ফারহানের বাবা ফারহানকে নিয়ে ভারতে হসপিটালে আছেন।
আর আমি ছোট ছেলে ফাহিমকে নিয়ে আমার বাবার বাসা মেহেরপুরে আছি। লকডাউনের জন্য আটকে আছি। মানিকের জন্য প্রতিটি রাত কাঁদতে কাঁদতে কাটে।
আমি ভারত থেকে ওকে রেখে আসার সময় আমার চোখের পানি মুছে দেয় আর বলেছিলো মা তুমি যাও ছোট ভাই আমাদেরকে ছাড়া থাকতে কষ্ট পাচ্ছে।
আর শোনো তোমাকে আর আসতে হবে না। দেখো মা আমি সুস্থ হয়ে বাবার সাথে হঠাৎ করে বাসায় গিয়ে তোমাদেরকে সারপ্রাইজ দিবো।
দয়া করুন। পোস্ট টি শেয়ার করুন। বিত্তবান দয়ালু ব্যক্তিদেরকে এগিয়ে আসার সুযোগ করে দিন প্লিজ।
প্রতিটি বছর যারা যাকাত দিয়ে থাকেন তাদের উদ্দেশ্য করে বলতেছি দয়া করুন আমার ছেলেটার জন্য।
সাহায্যে পাঠানোর ঠিকানাঃ
বিকাশঃ ০১৭৯৪-১৪৩৮৪৩ (পারসোনাল),
রকেটঃ ০১৭৯৪-১৪৩৮৪৩২ (পারসোনাল),
নগদঃ ০১৭৯৪-১৪৩৮৪৩ (পারসোনাল)
(আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে বিকাশ নাম্বারটিতে ফোন করবেন।)
মানবতার জয় হোক।
0 Comments