আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস আমার দেখা সেরা শিক্ষক ২০২১


 আজ ৫ই অক্টোবর "বিশ্ব শিক্ষক দিবস"। বিশ্বের সকল শিক্ষকদের জানাই আন্তরিক ভালোবাসা এবং অভিন্দন।

বিশেষ করে আমার জীবনে যত শিক্ষক এসেছে একজন শিক্ষকও খারাপ ছিল না। প্রত্যেক শিক্ষক ছিল আমার কাছে সেরা। তারমধ্যে শ্রদ্ধেয় জনাব গোলাম সামদানী স্যার আমার একজন প্রিয় শিক্ষক।
শিক্ষক হলেন জাতি গড়ার কারিগর। আর মা-বাবার পরেই একজন শিক্ষক এর অবস্থান। মা বাবা তার সন্তানকে পৃথিবীতে আনেন। সেই সন্তানকে শিক্ষক তার সেরাটা দিয়ে তাকে মানুষের মত মানুষ হিসেবে তৈরি করেন। একজন শিক্ষক সেই মানুষটাকে দক্ষ স্বাবলম্বী বিনয়ী করে তোলেন। তারমধ্যে মনুষ্যত্বের আবির্ভাব ঘটান। তাই পৃথিবীতে শিক্ষকের অবদান অনস্বীকার্য।

নতুন নতুন বিশ্বের সেরা ফোন এর বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন

দীর্ঘ ১১ বছর পর স্যারকে দেখলাম তাও আবার বাস্তবে নয় ছবিতে। আর উল্লেখিত ছবিটি হচ্ছে সেই ছবি, স্যার কে অনেক ভালোবাসি অনেক। তিন ছিলেন আমাদের অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যায়ল, অরুয়াইল, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। নবম ও দশম শ্রেণীর ইংলিশ শিক্ষক। আমাদেরকে যখন ইংরেজি পড়াতেন তখন মনে হতো পৃথিবীতে এমন সহজ করে কেউ বোঝাতে পারবেনা। স্যার যখন আমাদেরকে পড়াতেন কঠিন সবকিছুই সহজ মনে হতো।
উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে- আমাদেরকে যখন Rearrange এর কৌশল শিখাতেন (যার নাম্বার ছিল ১০)। বিভিন্ন রাজাদের ঐতিহাসিক কাহিনী, শেক্সপিয়ারের কাহিনী, তাজমহলের কাহিনী, বিভিন্ন লেখকের এর জীবনী এত সহজ করে বোঝাতেন যা হৃদয়ে গেঁথে যেত। আমরা যখন আবার চেষ্টা করতাম তখন ঠিকই ৫ থেকে ৬টা সঠিক হয়ে যেত। এখনো স্যারের কৌশল অবলম্বন করলে সাত থেকে আট টা সঠিক হয়ে যাই।

যে কারণে শ্রেষ্ট ওসির খেতাব পেলেন বিস্তারিত জানুন
স্যারের পড়ানোর মধ্যে অন্যরকম একটা কৌশল ছিল। যা আমি কোনদিনও ভুলতে পারবো না। আমার কাছে উনি হলেন একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, মেধাবী ও নমনীয় প্রকৃতির একজন মানুষ। শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।
মায়ের প্রতি ভালোবাসা ছিল স্যারের অত্যধিক। মাকে অনেক ভালবাসতেন। স্যারের মায়ের প্রতি ভালোবাসা দেখে আমাদেরও অনেক অনুপ্রেরণা এসেছে মায়ের প্রতি। কথায় বলে "মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত" আর সেই মাকে স্যার অনেক ভালবাসতেন।
উনাকে সবাই ভয় পেতেন তার একটাই কারণ বিষয়টা যে ছিল ইংরেজি। আর ইংরেজিতে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী ছিল দুর্বল। আর দূর্বলতার জন্যই তাকে ভয় করা। কিন্তু স্যার বাহিরে যতটা কঠিন ভিতরে ঠিক ততটাই নরম ছিল।


যখন হোস্টেলে থাকতাম শখের বশে বাম হাতের একটা আঙ্গুলের নখ বড় করেছিলাম। স্যার সেই নখটা দেখে একটা কথাই বলেছিল- গাছের শিকড় কেটে উপরে পানি দিলে গাছটিকে বাঁচানো যায় না।
তখন ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম কথাটা আমাকে বলা হয়েছে। কারণ স্যার অনেক ভালবাসত আমাদেরকে। আমার যতটুকু মনে আছে আমাদের আগের ব্যাচের কাউকে স্যার প্রাইভেট পড়াতেন না। কিন্তু আমাদেরকে টিকই প্রাইভেট পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর সেটাই ছিল আমাদের প্রতি স্যারের ভালোবাসা।
অনেক শিক্ষক আছেন যারা প্রাইভেট কে একটা ব্যবসায় মনে করে পড়ায়। কিন্তু আমার এই প্রিয় শিক্ষক মাস শেষ হয়ে গেলেও কোনদিন কোন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রাইভেটের সম্মানী আনতে বলেনি। এটা ছিল উনার একটা মহৎ গুন।
একজন দক্ষ শিক্ষকের যেই গুণগুলো থাকা প্রয়োজন তার সবগুলোই আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এর মধ্যে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।

আমার প্রিয় শিক্ষক কোনদিন অন্যায়ের পক্ষে আপোষ করে নি। সর্বদা অন্যায়ের বিপক্ষে লড়াই করে গেছেন। কে খুশী হলো আর কে খুশি হলো না তা দেখা ওনার কাজ ছিল না। উনার একটাই লক্ষ ছিল অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। ওনার গুণের মাধ্যমে মানুষ ওনাকে ভালবাসবে তেলের মাধ্যমে নয়।
বাস্তব জীবনে এমন অনেক শিক্ষক আছেন, যারা বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি কে, কমিটির সদস্যদের কে খুশি করার জন্য সহকারি শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ, অসদাচরণ ও অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করতেও দ্বিধাবোধ করে না।

মোবাইল জগতের সেরা সেরা মোবাইল দেখতে ভিজিট করুন এবং আকর্ষণীয় ওপার পেতে আর দেড়ি কেন?
এখনই ভিজিট করে আপনার পছন্দের ফোনটি লোপে নিতে এখানে ক্লিক

স্যার কে নিয়ে লেখা আমার ক্ষুদ্র মেধা দিয়ে সম্ভব নয়। তাও মনের ভাব গুলো প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি। যদি আমার উপরোক্ত কথায় কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে সবার কাছে ক্ষমা এবং শুদৃষ্টি আশা করছি।
সর্ব শেষে একটা কথাই বলবো পৃথিবীর সকল শিক্ষক যেন সদা সর্বদা সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করতে পারেন এই দোয়া আল্লাহর কাছে সদাসর্বদা করি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : তানভীর আহমেদ সৌরভ

Post a Comment

0 Comments